ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

মগনামা উপকূলীয় বনবিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ

গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া ::

উপকূলীয় বন বিভাগ পেকুয়া উপজেলার মগনামা বনবিটে কর্মরত বনবিট কর্মকর্তা মো: নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে বেপরোয়া চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বিট কর্মকর্তার এহেন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ীরা। এদিকে মগনামা বন বিট কর্মকর্তা ঘুষখোর নিজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপকূলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সচেতন কয়েকজন লোক।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাঠে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেছে, চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের চনুয়া রেঞ্জের অধিন মগনামা বনবিটে গত ৫/৬ বছর ধরে কর্মরত রয়েছে ময়মংসিংহ জেলার বাসিন্দা মো: নিজাম উদ্দিন। মূলত তার পদবী ফরেস্ট গার্ড। মগনামা বনবিটে বিট কর্মকর্তা না থাকায় বিট কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন ধরে। পেকুয়া বাজার থেকে প্রতিদিনি নৌপথে বিভিন্ন ধরনের সাইজকৃত ও আইনসাইজ কাঠ কুতুবদিয়ায় পাচার করা হয় অবৈধভাবে। এসব কাঠ পেকুয়া সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী রাবার ড্যাম এলাকায় নিয়ে স্তুপ করে রাখা হয়। এরপর ডেনিসবোট ভর্তি করে কুতুবদিয়ায় পাচার করা হয়। এসব প্রতিটি ডেনিসবোট থেকে বিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ৫শত টাকা করে আদায় করেন। এভাবে প্রতিদিন অসংখ্য কাঠভর্তি ডেনিসবোট থেকে বিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চাঁদা উত্তোলন করেন।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, এছাড়াও মগনামা-পেকুয়া বাজার সড়কের উপর দিয়ে যে সব কাঠ বা গাছ পাচার হয় সেখান থেকেও বিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চাঁদা উত্তোলন করেন নিয়মিত। ফরেস্ট গার্ড নিজাম উদ্দিন নিজেকে বিট কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মগনামা বনবিটে নানান অপকর্ম শুরু করেছে। বিটের অফিসের নিচে রাতে জুয়ার আড্ডা বসানো হয়। মগনামা বনবিটে যোগদান করার পর থেকে নানান অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে নিজাম উদ্দিন।

এছাড়াও অবৈধ গাছ ছেড়ে দেওয়ার ঘটনায় নিজাম উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে গত এক বছর পূর্বে পেকুয়ার মানবাধিকারকর্মী নাছির উদ্দিন বাদশা নামের এক ব্যক্তি কক্সবাজার স্পেশাল জজ আদালতে দূর্নীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন। বর্তমানে মামলাটি দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক রতন বাবু তদন্ত করছেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মগনামা বনবিটে কর্মরত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিট কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন জানান, তিনি পেকুয়া বাজার কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির কাছ থেকে কিছু খরচপাতি নেন। কোন ধরনের চাঁদাবাজির সাথে সাথে তিনি জড়িত নন।

পাঠকের মতামত: